আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

রাঙ্গামাটির পুজামণ্ডপে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা


অনলাইন ডেস্কঃ শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে জেলা-উপজেলার ৪৩টি পুজামণ্ডপে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা।

জেলা শহরের পুজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছেন শিল্পীরা। এখন চলছে রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমা রাঙিয়ে তোলার কাজসহ পুজামণ্ডপ ও এলাকায় চলছে সাজ-সজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ। পূজা ঘনিয়ে আসায় রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও পূজা উদযাপন কমিটি।
আগামী ২০ অক্টোবর বোধন ও মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এবারের দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এলাকা ভিত্তিক পূজা উদযাপন কমিটির সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি।

রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বাংলাদেশ জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ এবার ৪৩টি পুজামন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপে গোয়েন্দা নজরদারী রাখা হবে এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের সাথেও সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা ষষ্ঠীর মাধ্যমে যখন বোধণ করা হবে, সেদিন থেকে একেবারে বিসর্জন পর্যন্ত সার্বিক একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা ইতোমধ্যে প্রনয়ণ করা হয়েছে। আশাকরি এবার জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় এবছর ১০ উপজেলায় ৪৩টি পুজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪টি, কাপ্তাই উপজেলায় আটটি, রাজস্থলী উপজেলায় চারটি, কাউখালী উপজেলায় চারটি, নানিয়ারচর উপজেলায় একটি, জুরাছড়ি উপজেলায় একটি, বিলাইছড়ি উপজেলায় দুইটি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় চারটি, লংগদু উপজেলায় তিনটি ও বরকল উপজেলায় দুইটি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দির পুরোহিত রণধীর চক্রবর্তী জানান, এবার দেবী দুর্গা ঘটকে আগমন ও ঘটকে গমন করবেন। প্রতিবারের মতো এবারো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জেলায় সার্বজনীন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছেন এই ধর্মীয় গুরু।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর